পর্দা ও নয়া জমানার নারীশিক্ষা

পর্দা শুধু হিজাব নিকাবে নয়। পর পুরুষের কাছে পড়তে না যাওয়াও পর্দার অন্তর্ভুক্ত। নারীশিক্ষা নাকি দেশকে আগিয়ে নিবে। এখন তো দেখা যাচ্ছে নারী শিক্ষা নারীকে নিয়ে গেছে পরপুরুষের বেডে। আমাদের দাদা নানাদের আমলে নারী শিক্ষা ভালো চোখে দেখা হতো না। সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ তাদের কত দ্বীনের জ্ঞান দান করেছিলেন। ছোটবেলায় আমার একটি গল্পের বই ছিল। শেয়াল পন্ডিতের পাঠশালা নামে একটি গল্প ছিল। এক কুমির শিয়াল পন্ডিতের কাছে তার নয় ছানাকে পড়তে দেয়। শেয়াল প্রতিদিন একটি করে কুমির খায়। এদিকে কুমির ছানাদের মাবাবা প্রতিদিন তাদের দেখতে আসে। কিন্তু শিয়াল একটি একটি করে নয়টি কুমির দেখায়। শেষে একটি কুমিরকেই নয়বার দেখায়। সুবহানাল্লাহ, লেখক যে কত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন তা ভাবলে অবাক হতে হয়। আজকের অভিভাবকদের বুদ্ধিমত্তা কুমিরের পর্যায়ে নেমে গেছে। এ জন্য তাদের মেয়ে ছানাদের শিয়াল পন্ডিত বানাতে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ে দেয় না। বিয়ে দিলে নাকি নারী অরক্ষিত হয়। তার কচি শরীর নাকি বাচ্চা নেয়ার উপযুক্ত নয়। আর এদিকে শিয়ালেরা চাকুম চাকুম করে ছানাদের খায়। আবার তাদের গর্ভপাতও প্রমাণ করে তাদের শরীর ঠিকই বিয়ে ও সন্তান ধারণের উপযুক্ত ছিল। কাজেই নারীরা শুধু নারী শিক্ষকের কাছেই পড়তে যেতে পারে। পুরুষ শিক্ষক মাদ্রাসার হুজুর, মসজিদের আলেম হলেও পরিত্যাজ্য।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান