ফিতনার স্থানে যাওয়া নিষেধ

ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্র, দাড়ি-টুপী শোভিত বইমেলায় গিয়ে ধরা, এরপর মুক্তি। সাড়া পৃথিবীতে আলোড়ন, দ্বীনী ভাইদের পোস্টে ফেসবুক গরম। কুরআন হাদীসের আলোকে এই ঘটনার কি অবস্থান? আর ভিকটিমদের দুনিয়াবী লাভ লোকসান কতখানি? লাভ নেই বলাই বাহুল্য। পুলিশের খাতায় নাম থাকলে ভবিষ্যতে উটকো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন কেউ বলে না যে ইসলামের মহান আদর্শ ধারণ করার জন্য মজলুম হতে হয়েছে। হ্যাঁ, যদি ইসলামের স্বার্থ থাকত তাহলে মজলুম হলে সান্তনা থাকে। কিন্তু যদি ইসলামের স্বার্থ বা প্রয়োজন না থাকে, তাহলে শুধু শুধু ওসব সেকুলার ফেতনার স্থানে যাওয়ার কি অর্থ হতে পারে। এর চেয়ে ঘুমিয়ে থাকা ভালো ছিল না? ওখানে না গিয়ে ঘুমিয়ে থাকলে সুন্নতের উপর আমল হতো। হাদীসের উপর অক্ষরে অক্ষরে আমল হতো। এমনকি সূরা কাহাফের যুবকদের সদৃশ হতো। ফলে আল্লাহ তাদের উপর রহমত বিস্তার করতেন। যারা বর্তমান যুগকে ‘শেষ যুগ’ হিসেবে সনাক্ত করতে পেরেছেন এবং তাতে প্রত্যাশিত সাড়া দিয়েছেন তারা কখনো ফেতনার স্থানে উপস্থিত হবেন না। তারা দুনিয়ার মানুষের আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হবেন না। ইমাম মাহদী য়ালাইহিস সালাম যিনি শেষ যুগের একজন মডেল তিনিও নিজেকে কোলাহল থেকে দূরে রাখবেন। যেসব মুসলিম মেয়েরা মনে করেন দুনিয়ার বাজারে চাকরী বা পড়াশোনার দ্বারা তারা তাদের মেধা বা যোগ্যতার সাক্ষ্যর রাখবেন তাদের জন্যও এখানে কিছু মেসেজ আছে যদি তা চৈতন্যে আসে।

16708700_1730434793937065_2613559233260581494_n