বিবর্তনবাদ একটি জায়নিস্টদের প্রোজেক্ট।

IPG2

 
বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ঈমানের দাবি। কারণ এটি একটি জায়নিস্টদের প্রোজেক্ট। আই পেট গোট টু ছবিতে Evolution শব্দটি বারবার দেখানো হয়েছে। যেকোনো স্বাভাবিক জ্ঞান সম্পন্ন মানুষই বুঝতে পারে, ইভালুয়েশন একটি জায়নিস্ট প্রোজেক্ট। একে নিয়ে কোন একাডেমিক আলোচনায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এটি আপনার ঈমান ধংস করতে পারে। যেসব জিনিস বুঝতে কষ্ট হয়, তা অবশ্যই মানুষের স্বাভাবিক ফিতরাতের বিপরীত। যেসব জিনিস বুঝার পর মানুষের মধ্যে জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব আসে, সেসব জিনিষ পরিত্যাজ্য। বিবর্তনবাদ হচ্ছে এমন একটা জিনিস। স্বাভাবিক জ্ঞান বলে, কোন কিছু তৈরি হতে তাকে সৃষ্টি করা লাগে। তার পেছনে ধাপে ধাপে মেহনত করতে হয়। একটা ডিম ভাজতে গেলেও সব উপাদান একটার পর একটা সিকুয়েন্স বজায় রাখতে হয়। আগে চুলায় আগুন দিতে হবে, এর উপর তাওয়া বা কড়াই দিতে হবে। এর পর ডিম ভেঙে ফেটা, পিঁয়াজ, মরিচ অনুপাত মতো কাটা, মেশানো, তেল পরিমাণমতো দেয়া, চুলার উপর তাওয়া দেয়া, এর উপর তেল দেয়া অনেক অনেক কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হয়। কোন একটা কাজ ছুটে গেলে বা আগেপরে করলে হবে না। চুলার উপর ডিম না ভেজে চুলার নীচে ডিম ভাজলেও হবে না।
 
কাজেই মানবদেহ, যেখানে এমন এমন হাজার হাজার বিক্রিয়া প্রতিমুহূর্তে ঘটতে থাকে, হাজার হাজার জটিল প্রোটিন অণু প্রতিমুহূর্তে তৈরি হয়, একটা এনজাইমের একটা নিদিষ্ট জায়গায় কাজ করতে সমস্যা হলে পুরো বিক্রিয়া অচল হয়ে যায়- তা এমনি এমনিই হবে, এটা হতেই পারে না।
 
বরং কোন জিনিসের উপর এরকম ধারাবাহিক মেহনত না করলে তা ধ্বংস হবে। একটা নবজাতক বাচ্চাহকে যদি পরিচর্যা না করেন, সেটাও একটু পর মরে যাবে।
 
আর যেই জিনিস জন্মই হয় নাই, সেটা এমনিই হাজার হাজার বছরে জন্ম হয়ে যাবে, তা অসম্ভব।
 
বিবর্তনবাদ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি অমুসলমানরা করে না। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে মুসলমানরা। কয়েকদিন পরপর তারা আবির্ভুত হয়। বিশেষ করে যারা একটু লেখাপড়া করেছে, ঈমান আমল তেমন নেই, কাজেই ঈমান আমল হারানোরও ভয় নেই, তারা এসব যখন প্রচার করে, অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আগেই বলেছি, বিবর্তন হচ্ছে এমন একটা জ্ঞান যা একটু জানলে মানুষ নিজেকে পন্ডিত মনে করে। বুদ্ধিজীবী মনে করে। এরকম পন্ডিত মনে করাটাই ইসলামের মেজাজের সাথে যায় না। বিবর্তনওয়ালাদের লেখা পড়লেই মনে হয় তারা একটা জিনিস মানুষকে জোর করে বুঝাতে চাইছেন। কঠিন ভাষা ব্যবহার করছেন। অথচ জ্ঞান সহজ। জ্ঞানের কোন জটিলতা নেই।
 
নবীজি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানব জাতির মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী লোক হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে উম্মী নবী বলতেন। যে জ্ঞান মানুষকে নীরবতা দান করে, মানুষের মনে কোমলতা পয়দা করে সেটাই প্রকৃত জ্ঞান।
 
আল্লাহতায়ালা আমাদের সব অপ্রয়োজনীয় জ্ঞান থেকে হেফাজত করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের নূরওয়ালা জ্ঞান দান করুন। এতে যদি আমরা সমাজে অবৈজ্ঞানিক বা অশিক্ষিত বলে চিহ্নিত হই সমস্যা নেই।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান